সীতাকুণ্ড আওয়ামীলীগ নেতার বাড়ীতে বার বার হামলা ,মামলা হয়েছে কয়েকটা, কিন্ত আসামি গ্রেফতার নাই

জনতার নিউজ

291

জনতার নিউজ

জ্জএম পির সাথে বি এন পি নেতার মিটিং কিন্ত আওয়ামীলীগ নাই

সীতাকুণ্ড আওয়ামীলীগ নেতার বাড়ীতে  বার বার হামলা ,মামলা হয়েছে কয়েকটা কিন্ত আসামি গ্রেফতার নাই ভোলাগিরি এলাকায় কয়েকদিনের ব্যবধানে আওয়ামীলীগ নেতা ওমর ফারুকের বাড়িতে বার বার হামলা চালিয়েছে মো. শহীদ প্রকাশ ‘ডাকাত’ শহীদের দলবল। তারা রান্নাঘরের বাসনপত্র ফেলে তছনছ করে যায়। খবর দেওয়ার অনেক পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অভিযোগে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত

(শনিবার) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ভোলাগিরি আশ্রম সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মৃত নজির আহম্মদের পুত্র পৌরসভা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মো. ওমর ফারুকের বাড়িতে ‘ডাকাত’ শহীদ ও ‘ডাকাত’ সাহাবউদ্দিনের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তারা রান্না ঘরের আসবাবপত্র ছুঁড়ে ফেলে ওমর ফারুককে খুঁজতে থাকে। না পেয়ে জিনিসপত্র ভাঙচুর করে হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে সীতাকু- থানার এসআই টিবলু কুমার মজুমদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।লোক মুখে শুনা যায় বর্তমান এম পি দিদারুল

আলম সাবেক বি এন পির নেতা বর্তমানে আওয়ামীলীগের এম পি হওয়ার পরে তিনি আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিদের কোন ঠাসা করে রাখেন আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগ যুবলীগ সহ কোণ সংগঠনের নেতা কর্মিরা তার সাথে নাই আগে যারা ছিল তারাও অপমানিত হয়ে এম পি থেকে দূরে সরে যায় এই ডাকাত শহিদ গ্রুপ এম পি সাহেবের কোয়েল বাহিনী নামে পরিচিত এদের অত্যাচারে হিন্দুরা বাড়ি ঘর ছেড়ে পালাতে থাকে। পুলিশ নির্বিকার,
আ. লীগ নেতা ওমর ফারুক অভিযোগ করে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ‘ডাকাত’ শহীদ ও সাহাব উদ্দিন তার বাড়িতে বারবার হামলা চালিয়েছে। গত ২২ জুলাইও তার বাড়িতে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এসময় বাধা দিতে এসে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হন তাঁর (ওমর ফারুক) স্ত্রী রেজিয়া বেগম (৩৮), ছেলে ইফতেখার আহমেদ অনিক (২০), ফার্দিন আহমেদ অয়ন (১৬) ও নুর আহমদ হাকিম অমিত (১৩)। এছাড়া ভাঙচুর হয় অন্তত ১০টি চেয়ার, একটি কম্পিউটারসহ মূল্যবান সরঞ্জাম। ওমর ফারুক আরো জানান, ঐ দিন ভোলাগিরির বাসিন্দা শিক্ষক প্রদীপ মন্ডলের- বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার ছেলে প্রীতম মন্ডকেও আহত করেছিলো। ৫০ হাজার টাকা চাদা নিয়ে ছেলেকে ছেড়েছিল বর্তমানে মাস্টার প্রদিপ মন্ডল প্রান নাশের হুমকী ও আরো চাদার হুমিকীর কারনে মামলা নং ৩৭ করেও পরিবার নিয়ে পালিয়ে গেছেন।
এসব ঘটনার পর ঐ রাতেই ওমর ফারুক বাদি হয়ে সীতাকু- থানায় একটি মামলা (নং ৩৮) দায়ের করেন। এতে সুনির্দিষ্ট মো. শহীদ প্রকাশ ডাকাত শহীদসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়। কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেনি। ফলে তারা বারবার হামলা চালিয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ফের তারা হামলা চালায়। ফলে তার পরিবারটি এখন চরম আতংকের মধ্যে রয়েছে।ফারুকের বড় ভাই সাবেক ছাত্রলীগ কর্মি ও বঙ্গবন্ধু গবেষণা ও স্মৃতি পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবুল খায়ের শাহ জাহান আগামির নমিনেশন প্রত্যাশি হয়ে এলাকায় ব্যাপক পোস্টারিং করে ব্যাপক প্রচার করার পর থেকে এম পির সন্ত্রাসী বাহিনী বার বার তাদের বাড়িতে আক্রমন করছেন। বি এন পি থেকে আগত নেতারা এই ভাবে আওয়ামিলীগের নেতা কর্মিদের উপর এই ভাবে অত্যাচার করে যাচ্ছেন। সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক জনাব বাকের ভুইয়া জানান এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাস বেড়ে গেছে আমরা বার বার থানায় ফোণ করে বলছি এদের গ্রেফতার করতে কিন্ত কোন নেতা যদি এদের সাহায্য করে তাহলে সাভাবিক কারনে পুলিশ গ্রেফতার করবে না।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সীতাকু- থানার এস.আই টিবলু কুমার মজুমদারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হামলার অভিযোগ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গেলে কয়েকটি জিনিসপত্র এলোমেলো দেখতে পাই। বড় ধরণের কোন ভাঙচুরের চিহ্ন ছিলো না। তবে আমি ডাকাত শহীদকে গ্রেপ্তার করতে গত কিছুদিন ধরে প্রতিদিন অভিযান চালাচ্ছি। ওমর ফারুক বা তাদের লোকজন যেখানে শহীদের অবস্থানের কথা বলছেন সেখানেই অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু তাদের পাওয়া যাচ্ছে না।বর্তমানে মামলার নথি পত্র র‍্যাব ৭ এ জমা দিয়েছেন বলে মামলার বাদি ওমর ফারুক জানিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here