
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে যুবলীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, সাংসদ দিদারুল আলমের অনুসারীরা তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে সীতাকুণ্ড সদরের ভোলাগিরী রাস্তার মাথায় এই ঘটনা ঘটে।এর আগে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুকের বাড়ীতে বোমা বর্ষন করেন,
নিহত ব্যক্তির নাম দাউদ সম্রাট (৩০)। তিনি সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। এ ঘটনায় আহত ব্যক্তির নাম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি পৌর যুবলীগের সদস্য। হতাহতরা উপজেলা চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এসএম আল মামুনের অনুসারী বলে পরিচিত।শক্রুতার মূল কারন হলো যে ডাকাত শহিদ ও ডাকাত সাইব্বা ডাকাত রুবেল এরা ছিল শিবিরের ক্যাডার, ১৩ ১৪ সালে এরা সীতাকুণ্ডে ব্যাপক জ্বালাও পোড়াও করে ব্যাপক সন্ত্রাসী কার্য্যকলাপ করে তখন ছাত্রলীগ যুবলীগ এদের কেপ্রতিহত করেন, কিন্ত ভাগ্যের কি পরিহাস খালেদা জিয়ার আস্তাভাজন যুবদলের নেতা দিদারুল আলম যখন বিনা ভোটে আওয়ামীলীগের এম পি হন তখন থেকে এই ডাকাতগুলার শক্তি ভেড়ে যায়, এরা সীতাকুণ্ড এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন চাদাবাজি ও খুন খারাবি করাএদের পেশা
দলীয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-৪ আসনের সাংসদ দিদারুল আলমের সঙ্গে সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা এসএম আল মামুনের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। পুলিশ বলছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে, নির্বাচনী কোনো সহিংসতা নয়।দিদারুল আলম ওতারপরিবার বি এন পি ঘরানার হওয়াতে তিনি আওয়ামীলীগের এম পি হওয়ারপরেও নেতা কর্মিদের আপন করে নিতেপারেন নাই উলটা সাবেক বি এন পি জামাতের সন্ত্রাসীদের আপন করে নিয়ে তিনি আওয়ামীলীগ নিধন অভিযান চালিয়েযাচ্ছেন এই সব ডাকাত গুলার বিরুদ্ধে থানায় অনেক মামলা থাকারপরেও পুলিশ এদের কেন গ্রেফতার করছে না তা এলাকার সবাই জানলেও সাহস করে কেহ মূখ খুলছেন না ইতি পুর্বে এরা ৩০/৩৫ জনকে মেরে চাদা আদায় করেছে মাস্টার প্রদিপ মন্ডলের ছেলে কে মেরে আহত করে ৫০,০০০/ তাকা চাদা নিয়ে ছেড়েছেন থানায় মামলা হওয়াতে তারা প্রান নাশের আশংখায় আছে কিন্ত থানা এদের গ্রেফতার করছে না কেন? সীতাকুণ্ড থানার মামলা নং ৩৮ তারিখ ২২/৭/২০১৮ আসামি গ্রেফতার নাই মামলা নং ৪৬ তারিখ ৩০/৬/২০১৮, আসামি শহিদ ডাকাত ওতার গ্যাং বাদী আওয়ামীলীগ নেতা ওয়ার্ড সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুক, কিন্ত উল্লেখিত আসামি গ্রেফতার নাই উলটা ফারুকের বাড়ীতে নির্বাচনের আগের দিন বোমা বর্ষন করেন
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হতাহতদের ওপর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ ডাকাত দলবল নিয়ে হামলা চালিয়েছে। শহীদকে সাংসদের অনুসারী বলে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেছেন। তবে শহীদকে সাংসদ দিদারুল সরাসরি নিজের অনুসারী বলতে নারাজ। তাঁর দাবি, উভয় পক্ষই নির্বাচনে তাঁর জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছিল। কিন্ত এলাকা বাসি জানেন দিদারুল আলম এই সন্ত্রাসীদের লালন পালন কারি।
যুবলীগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাংসদ দিদারুল আলমকে অভিনন্দন জানাতে দলবল নিয়ে যাচ্ছিলেন শহীদ। এ সময় সম্রাটের পক্ষের একজনকে দেখতে পেয়ে ধাওয়া করে তাঁরা। খবর শুনে সম্রাট নিজেই শহীদের দলবলকে আটকাতে ভোলাগিরী রাস্তার মাথায় যায়। এ সময় শহীদ লোকজন সেখানে পৌঁছে সম্রাটকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। এর পরপরই সেখানকার বটতল কালীবাড়ির কাছে সাজ্জাদকে পেয়ে তাঁকে কুপিয়ে আহত করে শহীদের লোকজন। পরে স্থানীয় লোকজন সম্রাট ও সাজ্জাদকে প্রথমে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সম্রাটকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত সাজ্জাদ সেখানে চিকিৎসাধীন।
সীতাকুণ্ড উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সম্রাট নতুন সাংসদকে শুভেচ্ছা জানাতে তাঁর পক্ষের নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় শহীদ দলবল নিয়ে সম্রাটকে কুপিয়ে হত্যা করে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই সম্রাট মারা যান। আহত সাজ্জাদ চিকিৎসাধীন। মরদেহ মর্গে নেওয়া হয়েছে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলওয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, শহীদ দলবল নিয়ে সম্রাটসহ দুজনের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁর ধারণা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের বিরোধ ছিল। নির্বাচনে তাঁরা মিলিতভাবে নৌকার পক্ষে কাজ করেছিল। এই সংঘর্ষ নির্বাচন কেন্দ্রিক নয়। এটি ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে হয়েছে বলে তাঁর ধারণা। তবুও আইনশৃঙ্খলা যাতে আর অবনতি না হয়, সে জন্য সেনাবাহিনী টহল দিতে শুরু করেছে।
সাংসদ দিদারুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, দুজনই (সম্রাট ও শহীদ) তাঁর নির্বাচনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছিল। তাঁরা উভয়েই আজ রাতে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে আসার কথা ছিল। তিনি মনে করেন, বিষয়টি ব্যক্তিগত পর্যায়ের বিরোধ।