রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এরা ইসলামি লেবাসের আড়ালে এক একটা জ্যান্ত হায়েনা। বাংলাদেশে আশ্রয় পেয়ে এরা শুধু সন্তান জন্মদান করে থেমে থাকেনি। সমগ্র বনাঞ্চল ধ্বংস, পাহাড় কাটা, স্থানীয়দের খুন করে টয়লেটে পুঁতে রাখা,

307

 
মাকসুদা সুলতানা ঐক্য   জনতার নিউজ
 
শুরু থেকেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে ঢালাও ভাবে থাকতে দেয়ার বিপক্ষে ছিলাম আমি, এবং আজো তার ব্যতিক্রম নয়। আমার পর্যবেক্ষণে এরা অত্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল, বর্বর, মূর্খ, নিষ্ঠুর, সর্বপরি পৃথিবীর সেরা বেঈমান জাতি।
এরা ইসলামি লেবাসের আড়ালে এক একটা জ্যান্ত হায়েনা। বাংলাদেশে আশ্রয় পেয়ে এরা শুধু শন্তান জন্মদান করে থেমে থাকেনি। সমগ্র বনাঞ্চল ধ্বংস, পাহাড় কাটা, স্থানীয়দের খুন করে টয়লেটে পুঁতে রাখা, চোখ উপড়ে দেয়া, বাড়ি সহ জমি দখল করা, খুন, ডাকাতি, ধর্ষণ, লুটপাট কি করেনি এরা?
বাংলাদেশে আশ্রয় পাওয়ার শুরু থেকেই টেকনাফ, কুতুপালং সহ বৃহত্তর কক্সবাজার জেলায় মাদক ও ত্রাসের রাজত্ব চালিয়ে আসছে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে।
এবং এই উচ্ছৃঙ্খল বর্বর জাতিকে টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশে সরকারের বিরুদ্ধে তথা রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাজে ব্যবহারের জন্য কারা গোপনে ট্রেনিং দিচ্ছে, সে খবর ও কম বেশী সকলেই অবগত রয়েছেন।
এই ট্রেনিং সহ জঙ্গি হামলার জন্য প্রস্তুতকারী হায়েনার সর্দারেরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢোকে এনজিও’র লেবাসে, আবার কখনো ধর্মীয় শিক্ষক হয়ে, কখনো মিথ্যা স্বাস্থ্য কর্মী হয়ে, অথবা ত্রাণ দাতা হয়ে।
এভাবে ওদের মধ্যে ঢুকে প্রথমে রোহিঙ্গাদের সাহস ও বয়স অনুযায়ী বিভিন্ন দলে ভাগ করে, একেক পর্যায়ের জন্য একেক গ্রুপ সদস্য নির্বাচন করে একেক ধরনের জঙ্গি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে।
এসব কার্যক্রম এতোটা গোপনীয় এবং চতুরতার সাথে পরিচালনা করে যে, ৫০০ গজ দুরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চৌকস টিম উপস্থিত থাকলেও সে কার্যক্রম সম্পর্কে সঠিক ভাবে বুঝতে পারবে না।
স্থানীয় টেকনাফ, কুতুপালং, এবং কক্সবাজারে বসবাসরত জনগণ অনেক আগে থেকেই রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মদদদাতা এবং আগ্নেয়াস্ত্রের যোগানদাতা হিসেবে বিভিন্ন এনজিও বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও যথেষ্ট প্রমাণের অভাবে বাংলাদেশে সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ওসব এনজিওর বিরুদ্ধে কোন একশনে যেতে পারেনি।
এর আগে বহুবার আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মাদক পাচার, ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ সহ অনেক রোহিঙ্গা অপরাধী কে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করলেও মোটেও বিচলিত ভয় পায়নি বর্বর রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। ওরা যেন আরো বেশী উৎসাহে অপরাধের ধরণ পাল্টে নতুন উদ্যোমে নেবে পরেছে অপরাধ জগতে!
এই বর্বর জাতিকে কিছু এনজিও বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করে, প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যপারটা ঐ এলাকার স্থানীয় সকলেই অবগত আছে। এবং দুঃখজনক ভাবে হলেও সত্য যে স্থানীয় এলাকাবাসীর ধারণা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এসব এনজিও এর ব্যাপারে নির্বিকার ও আইনগত কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা, বরং সে সব এনজিও র সাথে কোন কঠোরতা না দেখিয়ে বছরের পর বছর নমনীয় আচরণ করে যাচ্ছে।
মাঝে মধ্যে দফায় দফায় পুলিশ বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে কিছু কিছু মাদক/ইয়াবা উদ্ধার হচ্ছে ঠিকই তবে মূলউৎপাটন হচ্ছেনা কোন ভাবেই।
গত ৬ মে ২০২০ তারিখ সকাল সাড়ে ৬ টায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানাধীন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের
রঙ্গীখালী গাজীপাড়া পশ্চিম পাহাড়ের ঢাল থেকে
* ৫ টি একনলা বন্দুক,
* ২ থ্রি কোয়াটার বন্দুক,
* ১০ টি এলজি,
* ১ টি বিদেশী পিস্তল,
* ১১ রাউন্ড রাইফেলের গুলি,
* ৮ রাউন্ড পিস্তলের গুলি,
* ২০৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ,
* ৭২ রাউন্ড কার্তুজের খোসা,
* ৫৬,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট,
* ৩ সেট বিজিবি অফিসিয়াল ইউনিফর্ম
এবং
*১০ সেট পুলিশের অফিসিয়াল ইউনিফর্ম।
উদ্ধার করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশের একটি চৌকস দলের সাথে স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মিলে এক গোপন আভিযানের মাধ্যমে।
করোনা নিয়ে সারা দেশের এই অস্থির সময়ে থেকেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূল এর উদ্দেশ্যে পরিচালিত এই কার্যক্রম কে স্বাগত জানাচ্ছি।
তবে মন থেকে কোন ভাবেই শতভাগ পরিতৃপ্ত হতে পারছিনা। কারণ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট সবার চক্ষুকে ফাঁকি দিয়ে কি ভাবে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র বারবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকে ওদের এসব সরবরাহ করে বা প্রশিক্ষণ দেয়?
এবং সরকারি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অফিসিয়াল ইউনিফর্ম ই বা কোত্থেকে যোগাড় করে সরবরাহ করে? এটা সত্যি ই আমার কাছে ধোঁয়াশা থেকে যাচ্ছে! বিষয়টি কি বাংলাদেশের জন্য বিশাল কোন ধ্বংস যজ্ঞ পারিচালনার আশনী সংকেত নয় ?
কেন রোহিঙ্গাদের বছরের পর বছর বাংলাদেশে পালতে হবে! কেন ওদের পুশব্যাক করার বিষয়ে এনজিও ওয়ালাদের আপত্তি! এসব এখন খুব সতর্কতার সাথে সুনিবিড় ভাবে খতিয়ে দেখে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসে গেছে। অন্যথায় দেশ ধ্বংস হতে সময় লাগবেনা।
মাকসুদা সুলতানা ঐক্য
৮ মে ২০২০

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here