
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানবিক কারণে মিয়ানমারের নাগরিকদের স্থান দিলেও তাদের দীর্ঘদিন রাখা সম্ভব নয়।
সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এ তথ্য জানায়।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিপীড়ন চলে আসছে কয়েক দশক ধরে। বিভিন্ন সময়ে সহিংসতার মুখে সেখান থেকে পালিয়ে এসে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে। তাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বার বার আহ্বান জানানো হলেও মিয়ানমার তাতে সাড়া দেয়নি। সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে ৩ লাখের মতো রোহিঙ্গা ইতিমধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এই স্রোত ঠেকাতে মিয়ানমারে জাতিসংঘের মতো কোনো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার তত্ত্বাবধানে একাধিক নিরাপদ এলাকা (সেইফ জোন) গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মানবিক কারণে মিয়ানমার নাগরিকদের স্থান দিয়েছি। তবে দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে পারব না।’ এসব শরণার্থীদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ সৃষ্টিতে গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর বলেন, এজন্য আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ককে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে, যেন মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফেরত নেয়। সামরিক শক্তি দিয়ে নয়, রাজনৈতিকভাবে এই সমস্যা সমাধান সম্ভব বলেও প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সাহায্যে ফ্রান্স প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান বিদায়ী রাষ্ট্রদূত।