Home
প্রতিবেদন বেগম জিয়ার ঘর সাজাতে লন্ডন থেকে ১৫০ কোটি টাকার আসবাব ক্রয়ঃ ছয়টি...

বলা হয়েছিল তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেছেন। কিন্তু তাঁর দীর্ঘ লন্ডন সফরে কোনো হেলথ বুলেটিন প্রকাশ করেনি বিএনপি। কমিউনিস্ট দেশগুলোয় যেমন কমিউনিস্ট নেতাদের অসুখের খবর প্রকাশ করা বারণ, যেমন একনায়করা তাঁদের চিকিৎসার খবর গোপন রাখেন, তেমনি বেগম জিয়ার অসুখের খবর নিয়ে বিএনপিতে লুকোচুরি খেলা কম হয়নি। লন্ডনে এক ডিসকাউন্ট শপে বেগম জিয়া, তাঁর ছেলে তারেক জিয়া এবং ছেলের বউয়ের এক ছবিই দেশবাসীর ভরসা।
কিন্তু এখন জানা গেল অন্য খবর, বেগম জিয়া তাঁর গুলশানের বাড়ির তাবৎ আসবাবপত্র পাল্টানোর জন্য লন্ডন থেকে অন্তত ১৫০ কোটি টাকার নতুন আসবাবপত্র কিনেছেন। এসব আসবাবপত্র কনটেইনারে ভর্তি করে জাহাজে ঢাকায় পাঠানোও হয়েছে। গুলশানের ভাড়া বাসা আধুনিকায়নের জন্য নতুন খাট কেনা হয়েছে জন লুইস থেকে। খাটের মূল্য ৩০ হাজার পাউন্ড। কেনা হয়েছে ড্রেসিং টেবিল, সোফা ও টেবিল ল্যাম্প। বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল শপ হ্যারডস থেকে কিনেছেন গোটা বাড়ির জন্য পর্দা আর বিছানার চাদর। হ্যারডসে পাওয়া যায় পাখির পালকের বালিশ। সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের ধনাঢ্য রাজা-বাদশাহরা এই সব বালিশ কেনেন। বেগম জিয়াও এ রকম ১০টা বালিশ কিনেছেন। কেনার তালিকায় আছে কিচেনের আধুনিক সরঞ্জাম আর বাথরুমের ফিটিংস। এগুলো লাগাতে লন্ডন থেকে উড়ে আসবেন ফিটিংস পারসন। এজন্য তাঁদের দেওয়া হবে আলাদা পারিশ্রমিক।
বেগম জিয়ার আসবাবপত্র এবং অন্যান্য আনুসাঙ্গিক জিনিসপত্রের জন্য লেগেছে ছয়টি বড় কনটেইনার। কনটেইনারগুলো শিপমেন্টের জন্য ঢাকায় আবদুল আওয়াল মিন্টুর গুলশানের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। আবদুল আওয়াল মিন্টুই বেগম জিয়ার বাড়িতে সংস্কার কার্যক্রম তদারকি করবেন বলে জানা গেছে।
কেনাকাটার সময় ছিলেন, এরকম একজন জানিয়েছেন, সাদা আর পিংক আবহে সাজানো হবে গুলশানের বাড়ি। দিনের বেলা বাড়ির আবহ থাকবে শ্বেত শুভ্র সাদা আর রাতে বাড়ির রং ধারণ করবে গোলাপী। বেগম জিয়া দামি এসব আসবাবে একাকিত্বে দু:খ কাটাতে পারবেন বলে বিএনপি সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। তবে এত টাকার জিনিস কে কিনে দিল, তার হিসাব পাওয়া যায়নি। ধারণ করা হচ্ছে, লন্ডনে বসবাসরত বিএনপি নেতারাই ম্যাডামকে এসব উপঢৌকন দিয়ে ধন্য হয়েছেন। তবে কর্মীদের প্রশ্ন, ম্যাডামের বাসায় তো আর আমরা যেতে পারি না, তাই আমরা কেমনে জানব নতুর রূপে কেমন সাজল বেগম জিয়ার বাড়ি?