মামলা ও গ্রেফতার আতঙ্কে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিএনপির অধিকাংশ নেতা এখন আত্দগোপনে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম আকবর খোন্দকার, দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনসহ বিভিন্ন স্তরের আটজন নেতা। তারও আগে গ্রেফতার হন মহানগর যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সভাপতি আবুল হাশেম বক্কর। গত ২৮ নভেম্বর মহানগর বিএনপির মহানগর দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় গোলাম আকবর খোন্দকারকে এবং দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে গ্রেফতার করা হয় মীর নাছির উদ্দিনকে। অন্যরা গ্রেফতার এড়াতে আত্দগোপনে চলে যাওয়ায় চলমান এই আন্দোলনে চট্টগ্রামের রাজপথ এখন তরুণ নেতা-কর্মীদের দখলে। এতে আন্দোলন জোরদার না হলেও হাল ছেড়ে দেয়নি দলীয় কর্মীরা। মরিয়া হয়ে মাঠ কামড়িয়ে রয়েছেন বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের অধিকাংশ তরুণ নেতা-কর্মী। তাদের সঙ্গে সহ অবস্থানে থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরাও। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালায় আমির খসরু মাহমুদ ও ডা. শাহাদাতের বাসভবনে। এ সময় আমির খসরু ঢাকায় এবং ডা. শাহাদাত বাসার বাইরে থাকায় পুলিশ তাদের আটক করতে পারেনি। অন্যদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড-মীরসরাই এলাকার তাণ্ডব- নৈরাজ্যের ইন্ধনদাতা হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযুক্ত উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসলাম চৌধুরীও এখন আর মাঠে নেই। সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর এমডিএম কামাল উদ্দিনও মাঠে নেই। তারা বর্তমানে আত্দগোপনে রয়েছেন বলে জানান বিএনপির মধ্যম সারির নেতারা। গত ২৮ নভেম্বর এক দিনেই প্রায় সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করে অবরোধকালে সহিংসতার ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালি, চকবাজার, পাহাড়তলী, আকবর শাহ, বন্দর থানায় নতুন করে ৫টি পৃথক মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলা ও গ্রেফতারের ভয়ে মাঠে নামছেন না নগর বিএনপির সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, শামসুল আলম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এনামুল হক এনাম, ইদ্রিচ মিয়াসহ অপরাপর নেতারা। এদিকে গ্রেফতার এড়াতে আত্দগোপনের রয়েছেন বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার এমপি, উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি মেজবাউদ্দিন ফরহাদ এমপি, সাধারণ সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়েদুল হক চান, সাবেক সভাপতি ও বরিশাল সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনসহ নীতিনির্ধারণী নেতারা।