বাংলাদেশ এশিয়ার পরবর্তী অর্থনৈতিক টাইগার হবেই। যেভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে দেশটির অর্থনৈতিক টাইগার হওয়াই উচিত। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে ডব্লিউ ডব্লিউ টাওয়ার উদ্বোধনকালে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডব্লিউ ডব্লিউ গ্রেন্স করপোরেশনের সিইও সৈয়দ আলতাফ হোসেন, এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি মো. শাহজাহান খানসহ শীর্ষ ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও ব্যাংকাররা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড্যান মজীনা আরো বলেন, ২০-৩০ বছর আগে বাংলাদেশ যখন চরম খাদ্যাভাবে ভুগছিলো তখন ডব্লিউ ডব্লিউ গ্রেন্স যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অংশীদারিত্বে আমেরিকান গম সহজ শর্তে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। যা মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা প্রদানে সহায়তা করে। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হয়েছে। যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নানাভাবে অবদান রাখছে।
‘শ্রমিক শোষণ করে ব্যবসায়ীদের
মুনাফা নেয়ার অধিকার নেই’
এদিকে, গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে শ্রম আইন বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে ড্যান মজীনা বলেছেন, যেসব গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও শ্রম অধিকার মান রক্ষা করতে আগ্রহী নন তাদের উচিত ব্যবসা বন্ধ করে সর্বোচ্চ রফতানির এই খাতকে ঝুঁকির হাত থেকে মুক্ত রাখা। শ্রমিকদের শোষণ করে তাদের মুনাফা নেয়ার কোনো অধিকার নেই। তাদের কারণেই ভবিষ্যতে এ খাতে আবারো তাজরীন ও রানা প্লাজার মতো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
মজীনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ পোশাক উত্পাদন ও রপ্তানিতে বিশ্বে অনুকরণীয় হবে। বিশ্ব পোশাক বাজারে চাহিদার ব্র্যান্ড হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিতি পাবে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও শ্রম অধিদপ্তর যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এম ফায়জুর রহমান, আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিবাস বি রেড্ডি এবং বিজিএমইএ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়াজ-বিন-মাহমুদ সুমন অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।