

অমর একুশে বইমেলার পরিসর আরো বাড়ানো হচ্ছে। বাংলা একাডেমি চত্বর পেরিয়ে সোহরাওয়ার্দি উদ্যান পর্যন্ত বিস্তৃত বইমেলায় এবার যুক্ত হচ্ছে মেলা ফটকের সাথের মুক্ত জায়গাটাও।
‘অমর একুশে বইমেলাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত বিস্তৃত করায় এটি বাংলা একাডেমি থেকে বিচ্ছিন্ন মনে হয়। এবছর মেলাকে সংযুক্ত করতে সোহরায়ার্দী উদ্যানে মেলা ফটকের দুই পাশেও বইয়ের দোকান বরাদ্দ দেয়া হবে। নিরাপত্তা জোরদার করতেও এবছর নতুন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে,’ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৬ উদযাপনের লক্ষে বাংলা একাডেমির সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আজ একথা বলেন। এর আগে তিনি আসন্ন অমর একুশে বইমেলা ২০১৬-এর নিরাপত্তা বিষয়ক এক সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আসাদুজ্জামান নূর জঙ্গী তৎপরতা মোকাবেলায় মেলায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মুক্ত চিন্তা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বইমেলা সবার জন্য উপভোগ্য করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এজন্যই অতিরিক্ত সতর্কতা নেয়া হচ্ছে। আমরা অতীতের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে একুশের বইমেলাকে আরো সুশৃংখলভাবে বিন্যস্ত করতে চাই। যাতে ভবিষ্যতে আর ভুল না হয়।
সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, মেলা স্থলকে সার্বক্ষণিক নজরে রাখতে ওয়াচ টাওয়ার, অতিরিক্ত সি সি ক্যামেরা, বাড়তি আলোর ব্যবস্থা এবং মেলা স্থলে প্রবেশের সুবিধার্থে বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মধ্যবর্তী রাস্তা ও ফুটপাত হকার মুক্ত রাখা হবে। পাঠকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এবার মেলার ভেতরেই মুক্তমঞ্চ তৈরি করা হবে। মেলাস্থলে প্রবেশ ও বের হওয়ার সুবিধার্থে অতিরিক্ত ফটকও রাখা হবে। বইমেলার সময় প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলা একাডেমির নির্দিষ্ট নীতিমালা মেনেই প্রকাশকদের স্টল বরাদ্দ দেয়া হবে। এ উপলক্ষে আগামী ৫ জানুয়ারি বাংলা একাডেমির সভাকক্ষে প্রকাশকদের সাথে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব আকতারী মমতাজ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান এবং একুশের বইমেলা উদযাপন কমিটির সচিব জালাল ফিরোজ প্রমুখ। বাসস