
মেয়েটির ফেসবুক আইডি সোনামনি। যাচ্ছিলেন নেপাল। লিখেছিলেন এটা তাদের তৃতীয় হানিমুন। কিন্তু এই হানিমুনে তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে জানা যায়নি। ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায় তিনি যাচ্ছিলেন প্রিয় মানুষ অমিওর সাথে। অমিওর খবর পাওয়া গেছে। তিনি নেপালের একটি হাসপাতালে আহত অবস্থায় চিকিত্সাধীন। একই সাথে তাদের সাথে ছিলেন আরেক যুগল। এফএইচ প্রিয়ক ও এনি প্রিয়ক। চারজনের এই দলে একজন শিশুও ছিল। অনেকেই তাদের ফেসবুক টাইমলাইনে আহাজারি করছেন। বলছেন ফিরে এসো। কেউ বলছেন তোমরা কোথায়। প্লিজ কথা বলো। কিন্তু আট ঘণ্টা আগে পোস্ট দেয়া প্রিয়ক, এনি, অমি ও সোনামনি কারো আইডি থেকেই কোনো প্রকার সাড়া পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে এনি ও অমি বেঁচে আছে বলে জানা গেছে।
বৈশাখী টেলিভিশনের সাংবাদিক ফয়সাল সর্দার অফিস থেকে ৫ দিনের ছুটি নিয়ে নেপালে ঘুরতে যান। তিনি প্রধানমন্ত্রী বিটের রিপোর্টার। শরিয়তপুর বাড়ি ফয়সালের। এই সাংবাদিকের সঙ্গে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে তিন দিন আগে কথা হয়। বলছিলেন, নেপাল ঘুরতে যাবেন। কিন্তু এই দুর্ঘটনায় তিনি আহত হয়ে প্রথমে কাঠমান্ডুর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল রাতেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
রফিক জামান স্ত্রী সানজিদা হক ও সন্তানসহ অবকাশ যাপনে ওই ফ্লাইটে চড়েন। দুর্ঘটনার পর তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানা যায়নি। রফিক জামানের ফেসবুক আইডিতে তার শুভাকাঙ্খীরা আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন। তারা যেন বেঁচে যান। কিন্তু তাদের কেউই বেঁচে নেই। একই ভাবে রেজোয়ানুল হক শাওন ও তাহরী শশী আগাম বিবাহ বার্ষিকী পালন করতে কাঠমন্ডুর উদ্দেশ্যে রওনা দেন ওই ফ্লাইটে। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে তারা ছবি তুলে তাদের ফেসবুক আইডিতে দিয়ে দেন। এই ছবিই কী তাদের শেষ ছবি? এখন কি তারা শুধুই স্মৃতি? তাদের কেউই বেঁচে নেই।