পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, ‘বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশের যেমন উন্নতি হচ্ছে সাথে সাথে এর ফলে দেশের দারিদ্র্য বিমোচনেরও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
পরিবেশ ও বন মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষ পরিবেশ সম্পর্কে যতই সচেতন হচ্ছে বৃক্ষরোপণের হার ততই বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে সরকার তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।’
আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বন ভবন মিলনায়তনে জাতীয় বৃক্ষরোপণ মেলা-২০১৪-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ ও বন মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘বৃক্ষরোপণ সারা দেশে একটি আন্দোলনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। গত ৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আন্দোলনের সূচনা করেছেন। বন অধিদপ্তর এ আন্দোলনে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে। এ জন্য তারা ধন্যবাদ পাবার যোগ্য। তিনি বলেন—বৃক্ষমেলা আমাদের দেশে নতুন নয়। অনেক আগেও এ দেশে ফুল-ফলসহ নানা প্রকার গাছের প্রদর্শনী হয়েছে। সে আন্দোলন এখন জোরদার হয়েছে। গাছের চারা বিক্রি এখন অনেকের কাছে আয়ের একটি উত্স। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন—পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে নানা আবর্তন-বিবর্তনের মধ্য দিয়ে তা যাচ্ছে। এ কথা সঠিক নয় যে, শুধু উন্নত দেশে পরিবেশের ক্ষতি করছে। পরিবেশের ক্ষতিতে আমরাও যথেচ্ছ অবদান রাখছি। নদী-নালা, খাল-বিল দখল করে আমরা বাড়ি-ঘর বানাচ্ছি। তবে মানুষ শিক্ষিত এবং সচেতন হবার পাশাপাশি এ প্রবণতা অনেক কমে আসছে। তিনি বলেন—আমাদের অর্জন অনেক। পাকিস্তান আমলে আমাদের যা অর্জন ছিল, বাংলাদেশ সৃষ্টি হবার পরে তা অনেক গুণ বেড়েছে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং জীবনযাপন সবই উন্নত হয়েছে। বৃক্ষমেলা সফলভাবে আয়োজনের জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুছ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সারা পৃথিবীর অস্তিত্ব আজ হুমকির সম্মুক্ষীণ। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়লে বাংলাদেশের দুই কোটি মানুষ তাদের আবাসস্থল হারাবে। উন্নত বিশ্বের দেশগুলো এ জন্য দায়ী।’
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারি বলেন, ‘জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। বৃক্ষমেলা আয়োজনের মাধ্যমে মানুষ গাছ লাগাবার ব্যাপারে সচেতন হয়ে উঠছে।’