জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনে এবং নির্বাচন কমিশনারদের বাসায় হামলার পরিকল্পনা করেছে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবির।
হাইকোর্ট থেকে জামায়াতে ইসলামীকে দল হিসেবে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার পর নির্বাচন কমিশন থেকে রায় বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়া হয়। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ রায় কার্যকর করার কথা জানালে এ হামলার পরিকল্পনা করা হয়।
উল্লেখ্য জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে অযোগ্য হওয়ার আশঙ্কা থেকে নির্বাচনের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ইতিপূর্বে বিকল্প দুটি দলের নাম নিবন্ধন করে রেখেছিল। এ নিয়ে দলে দুটি ধারার মতভেদ ছিল। দলের একটি অংশ নিবন্ধিত নতুন দলের ব্যানারে নির্বাচন করার পক্ষে ছিল। অপর অংশ আন্দোলন জোরদার করে সহিংস উপায়ে দলের নিবন্ধন বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার গুলশানের একটি গেস্ট হাউজে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নির্বাচন কমিশনে এবং নির্বাচন কমিশনারদের বাসায় হামলা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ড. মু. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কয়েকটি থানার জামায়াত ও শিবিরের নেতারা অংশ নেয়। জামায়াতের মিরপুর থানা আমীর মাহফুজুর রহমান, দারুস সালাম থানা আমীর মাওলানা বেলাল হোসাইন, জামায়াত নেতা দিদারুল আলম, বজলুর রহমান, শিবিরের সেক্রেটারী আবদুল জব্বার, ঢাকা মহানগরের সাবেক সভাপতি রাশেদুল হাসান রানা, সোহেল রানা, সবুজবাগ থানার সভাপতি ফায়জুর রহমানসহ প্রায় বিশ জন এ গোপন বৈঠকে অংশ গ্রহণ করে।
এ হামলা পরিচালনা করতে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। জামায়াত এ হামলা পরিচালনা করতে নিজেদের উদ্যোগের পাশাপাশি হরকাতুল জেহাদ ও হিজবুত তাহরিরের মত জঙ্গি সংগঠনের সাথে যোগাযোগের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।