নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়ার অভিযানে ছাত্রলীগের ৫০ হাজার কর্মী কাজ করবে

31

জনতার নিউজঃ

নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়ার অভিযানে ছাত্রলীগের ৫০ হাজার কর্মী কাজ করবে

২০১৮ সালের মধ্যে নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশজুড়ে ৫০ হাজার ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রীর নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার নির্দেশ সফল করতে শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।

মন্ত্রী এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বলেন, ছাত্রলীগের নিরক্ষরতা মুক্তি অভিযানকে সফল করতে রাজনৈতিক অঙ্গীকারের বিকল্প নেই। আমরা এদেশকে স্বাধীন করেছি, সেদেশের মানুষ নিরক্ষর থাকবে কিনা সেটা দেখবে তোমরা। এত বড় কর্মসূচি এর আগে আর কোন ছাত্র সংগঠন হাতে নেয়নি। যেটা প্রথম নিয়েছে ছাত্রলীগ। রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছাড়া এত বড় প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়।

অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, দেশের নিরক্ষর লোকজনকে স্বাক্ষর শেখাতে এত বড় পরিসরে নেওয়া এ কর্মসূচি খুবই বিরল। যারা মাঠে কাজ করবে তাদের নিয়ে মতবিনিময় সভাও প্রশংসনীয়।

মতবিনিময় সভায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতারা নিরক্ষরতা মুক্তি অভিযানের কর্মসূচি নিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। এ সময় তারা স্বাক্ষরতা অভিযানে নিরক্ষর লোকদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করা, নেতাদের স্ব স্ব এলাকায় কাজ করার সুযোগ দেওয়া, নেতা-কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করাসহ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। স্বাক্ষরতা অভিযানে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাকদের নেওয়া কয়েকটি পদক্ষেপের পরিবর্তনের দাবিও করেন নেতারা। এ পদক্ষেপগুলোতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের একক আধিপত্য প্রকাশ পেয়েছে বলে হতাশা ব্যক্ত করেন বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা।

ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের একক আধিপত্যের অভিযোগকে উড়িয়ে দেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। তিনি বলেন, যারা কাজ করে সমালোচনা তাদের নিয়েই হয়। অভিযানকে সফল করতে ছাত্রলীগকে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। আমরা যদি একজন নিরক্ষর লোককেও অক্ষরজ্ঞান দিতে পারি তবে আমাদের অভিযান সফল।

এস এম জাকির হোসাইন বলেন, যদিও ইউনেস্কোর সংজ্ঞায় বলা আছে যারা পড়তে, লিখতে ও বুঝতে পারে না তারাই নিরক্ষর। কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এদেশে যারা শুধুমাত্র স্বাক্ষর করতে পারে তারাই স্বাক্ষরতার দলে পড়ে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here