
জঙ্গিদের হামলার হুমকিতে থাকা জনপ্রিয় লেখক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর গতকাল শনিবার বিকেলে হামলা চালানো হয়েছে। কর্মস্থল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠান চলাকালেই তিনি হামলার শিকার হন।
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের উৎসবের সমাপনী দিনে গতকাল রোবটিকস প্রতিযোগিতা চলছিল। ওই অনুষ্ঠানের বিরতির ফাঁকে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে এক যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইইই বিভাগের প্রধান জাফর ইকবালের মাথার পেছন দিকে তিন-চারটি আঘাত করে।
জানা গেছে, হামলাকারী ফয়জুর রহমান বলছেন, ‘ভূতের বাচ্চা সোলায়মান’ নামক উপন্যাস লিখে নবী সোলায়মান (আ.) কে ব্যঙ্গ করায় অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালিয়েছে।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই স্বীকারোক্তি দেয় ফয়জুর। সে বলেছে, জাফর ইকবাল ইসলামের শত্রু, তাই তাকে হত্যা করার জন্য হামলা করেছি। উনি নিজেও নাস্তিক এবং অন্য সবাইকেও নাস্তিক বানানোর জন্য প্রচার করে বেড়াচ্ছেন। তার লেখা পড়ে মানুষ বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ছে।
এরকম অসংখ্য বিভ্রান্তিকর তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে। আরও জানা গেছে, এরকম মিথ্যা অপপ্রচারের বিভ্রান্ত হয়েই এই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এসব তথ্যের উৎস সম্পর্কে কারোই সঠিক কিছু জানা নেই।
এমনই কয়েকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। বিভিন্ন সময় এসব ভিডিও ফেসবুক ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে। এরকমই একটি পুরনো ভিডিওতে দেখা যায় জাফর ইকবালকে নাস্তিক আখ্যা দিয়ে অগ্নিঝরা বক্তব্য দিচ্ছেন একজন। কিন্তু সাংবাদিক যখন জিজ্ঞেস করলেন, আসলে তিনি কী বলেছেন? তখন সেই বক্তব্যপ্রদানকারী একটি শব্দ উচ্চারণ করতে পারছেন না, কেননা তিনি আসলে জানেনই না জাফর ইকবাল কী বলেছেন। শুধু শোনা কথায় স্রোতে গা ভাসিয়েছেন।
নেটিজেনরা জানাচ্ছেন, নানা উস্কানিমূলক বক্তব্য ও মিথ্যা বানোয়াট কিছু তথ্য সোশ্যাল মিডিয়া ও লিফলেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে তরুণ সমাজকে ক্ষুব্ধ করা হচ্ছে। যার ফলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটছে।
ভিডিও সূত্র-ফেসবুক