জনতার নিউজ প্রতিবেদকঃ
চট্রগ্রাম এর সীতাকুন্ড উপজেলা এলাকায় প্রায় সময় দেখা যায় জামাত-শিবির ব্যাপক আতঙ্ক সৃস্টি করে থাকে, মিসিল মিটিং এর সাথে সাথে জ্বালাও পোড়াও হত্যা ইত্যাদি কর্মকান্ড নিয়মিত হয়ে থাকে, এর কারন অনুসন্ধান করতে গিয়ে প্রথমে শুনলাম সীতাকুন্ড ইসলামী আওয়ামীলীগ !! এর বিস্তারিত জানার জন্য সাধারন জনগনের সাথে কথা বলতে গিয়ে জানলাম সারা চট্রগ্রামে দুই ধরনের আওয়ামীলীগ আছে এক হল নিবেদিত প্রান বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক এরা নিজেদের আদর্শকে ধারন করে বঙ্গবন্ধুকে ভাল বেসে আওয়ামীলীগ করে, এরা সাধারন কর্মি, এদের ক্ষমতা নাই এদের বলে আসল আওয়ামীলীগ আর এক ধরনের আওয়ামীলীগ আছে যারা ক্ষমতাসীন, এদের এক ভাই আওয়ামীলীগ নেতা তো আরেক ভাই জামাত-বি,এন,পি নেতা এরা ক্ষমতা ভাগাভাগি করে জামাত-বি,এন,পি এর সাথে সকল ব্যবসা বানিজ্য, জবর দখল সহ সকল কাজ নিয়ন্ত্রন করে থাকেন, যেমন সীতাকুন্ডের সকল রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সাথে জড়িত জামাত আর ইসলামি আওয়ামীলীগ, এদের যোগ সাজসে জামাত-শিবির সকল অপকর্ম্ম করে থাকে, আমরা যখন সরে জমিনে সীতাকুন্ডের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে দেখলাম, হিন্দুদের সকল আশ্রম, মন্দির সহ বিভিন্ন স্থাপনায় জামাতের পোস্টার লাগানো, অবাক হলাম হিন্দুরা কি সবাই জামাত করেন নাকি ? এর ভিতরের খবর জানতে এক স্কুলের হিন্দু হেড মাস্টার সাহেবের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম,যে সীতাকুন্ড আর আগের মত হিন্দুরা নিরাপদ নয় কারন তারা কিছু বলতে গেলে জীবন হারাতে হবে, কারো কাছে অভিযোগ করলেও নাকি প্রান নাশের আশঙ্খা আছে, এর মুল কারন হচ্ছে, উপজেলা চেয়ারম্যান বাকের ভুয়ার এক ভাই প্রভাব শালী জামাত নেতা,এম।পি আবুল কাসেম মাস্টারের ছেলেদের নানান অপকর্মের কারনে তিনি জামাত-বি,এনপির সাথে আপস করে চলছে, আর থানার সাবেক ওসি ছিলেন জামাতের বন্ধু যার কারনে আওয়ামীলীগের জনৈক হবু কাউন্সিলার কে হত্যার পরেও কাউকে গ্রেফতার পর্যন্ত করেন নাই বা করতে পারে নাই, একই অবস্থা আগ্রাবাদ, চকবাজার, বহদ্দার হাট, সহ বিভিন্ন এলাকা, যেমন আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনী এলাকায় থাকার কথা সরকারী কর্মচারী, কিন্ত আছেন যুবদল আর যুবলীগ নাম ধারী অনেক সন্ত্রাসী এরা সরকারী খালি জায়গায় ঘর তুলে ভাড়া দিয়ে প্রচুর অর্থ রোজগার করছে, সব চাইতে ভয়াবহ হচ্ছে এই সরকারী কলোনীতে এলোটির চেয়ে ভাড়াটিয়া বেশী অথচ এখানে কোন ভাড়াটিয়া থাকার কথা নয়, এখানে বস্তি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছে আর সেখানে চলে মাধক ব্যবসা, যৌনাচার সহ সকল ধরনের অপকর্ম, আর এরা সবাই আছেন ব্যবসায়ীকাম যুব লীগ নেতা আলতাফ হোসেন বাচ্চুর নিয়ন্ত্রনে, আগ্রাবাদ সরকারী কলোনী স্কুল টা ছিল অনেক নাম করা, আজ সেই স্কুল পরিনত হয়েছে সন্ত্রাসীদের আকড়ায়, স্কুলের সভাপতি থাকার কথা এম,পি লতিফ কিন্ত তিনি দ্বায়িত্ব পালন না করে সভাপতি করেছেন আলতাফ হোসেন বাচ্চুকে আর বাচ্চু সাহেবের ডান হাত হচ্ছে যুবদলের ও জামাতের সন্ত্রাসী ২ জন মেম্বার, আর বাম হাত হচ্ছে যুবলীগের সন্ত্রাসী মেম্বার, এরা শুধু এই কাজ করে ক্ষান্ত নয়, সরাসরি আলতাফ হোসেন বাচ্চুর নিয়ন্ত্রনে চলছে ফুট পাতের দোকান , সব চাইতে মজার ব্যাপার হল এই কলোনীতে এখন বেশীর ভাগ বসবাস করেন পুলিশ, তাই এরা সবাই থাকে ধরা চোয়ার বাহিরে, এখানে সন্ত্রাসী পুলিশ ভাই ভাই, আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনী, টিএন,টি কলোনী, বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনী, সিডিএ আঃ এলাকা, বহুতল কলোনী, ফরেস্ট কলোনী, সোনালী ব্যাংক কলোনী, শিশু পার্ক কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট এদের কাজ হচ্ছে, মাদক ব্যবসা গাড়ী চুরি সহ হেন কোন কাজ নাই এরা করে না, কারন এদের নিয়ন্ত্রন করবে কে এরা হচ্ছে আওয়ামীলীগ,বি,এন,পি জামাত, হেফাজত মিলে সবাই ইসলামী আওয়ামীলীগ,আর ইসলামী আওয়ামীলীগ কে ধমন করবে কে ?
একমাত্র উপায় হচ্ছে সকল সরকারী কলোনী থেকে সব ধরনের অবৈ্ধ বস্তি উচ্ছেদ করে সকল অবৈ্ধ ভাড়াটিয়া বেড় করে দিলে হয়ত এই সব সন্ত্রাসী বা ইসলামী আওয়ামীলীগ ক্ষান্ত হতে পারে, কিন্ত এরা যে বলছে যারা এই সকল কাজ করার দ্বায়িত্বে আছে তারাও ইসলামীক আওয়ামীলীগ। তাই একমাত্র ভরশা হচ্ছে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী।