
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের সাধারন সম্পাদক পদে কেনো দেওয়া হলো ওবায়দুল কাদের কে এবং কেন নেত্রীর আস্থা বিশ্বাস এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নুরুল করিম জুয়েল যা বললেন একাত্তর বিবিসি বাংলা কে:-
সংগঠনের বর্তমান সভানেত্রী হলেন আমাদের আস্থা বিশ্বাসের একমাত্র ঠিকানা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। কেন প্রিয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা জনাব ওবায়দুল কাদের কে সাধারণ সম্পাদক পদে যোগ্য মনে করলেন ?
১. প্রিয় নেতা ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধুর ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মুজিব বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন।
২. ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক দায়িত্বে ছিলেন।
৩.১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপরিবার হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং এর জন্য কারা বরণ করেছেন।
৪. ১৯৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ঠিক তখনি ১৯৭৭ সালে প্রিয় নেতা ওবায়দুল কাদের কে সভাপতি করা হয়। তিনি তখন ফরিদপুর জেলে ছিলেন।
৫. বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি হবার অনেক দিন পর জেল থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে একটি শক্তিশালী ছাত্র সংগঠন হিসেবে তৈরি করার জন্য দিন রাত পরিশ্রম করেছেন। তা সফল হয়েছেন বলে ইতিহাস মনে করে।
৬. ১৯৮১ সালে দেশরত্ন শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরে আসেন তার নেতৃত্ব বাংলাদেশ ছাত্র সমাজ প্রিয় নেত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমান বন্দরে যান। তার পর ছাত্রলীগ থেকে বিদায় নেওয়ার পর দেশ রত্ন শেখ হাসিনার আস্থা এবং বিশ্বাস নিজে কাজ করে গেছেন।
৭. প্রিয় নেতা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও সাষ্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন।
৮. তিনি নোয়াখালীর মত বিএনপির ঘাঁটি জায়গায় ১৯৯৬ সালে মওদুদ কে হারিয়ে এমপি নির্রাচিত হয়েছেন।
৯. তারপর ২০০১ সাল থেকে ২০০৭ সাল বাংলাদেশের জন্য তথা আওয়ামীলীগের জন্য আরেক বিভিষিকাময় সময় পার করতে হয়েছে। সে সময় প্রিয় নেত্রীর সাথে থেকে দলীয় সকল কাজ দিন রাত পরিশ্রম করে করেছেন। ১০. ২০০২ সালে আওয়ামীলীগের জাতীয় কাউন্সিলে নেত্রীর অনুমোতিতে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। তারপর সিনিয়র নেতাদের অনুরোধে আব্দুল জলিল ভাই কে সাধারণ সম্পাদক করলেন আর নেত্রী কাদের ভাই কে করলেন এক নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং নেত্রী কাদের ভাইকে ভালো ভাবে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেন।
১১. এমনকি নেত্রীর দলের সার্থে গুরুত্বপূর্ণ দলীয় কাজ কাদের ভাইকে দিয়ে করাতেন এবং আওয়ামীলীগের সংসদীয় বোর্ডের সদস্য মনোনীত করলেন।
১২. সে সময় তিনি ২০০৪ সালের ২১শে আগষ্ট দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা স্বরুপ গ্রেনেড হামলায় মারাত্বক ভাবে আহত হন।
১৩. ১/১১ সরকার কাদের ভাইকে গ্রেফতার করলেন। শুরু হলে নির্যাতনের ষ্ট্রিম রোলার, তারপর মুক্তি পেলেন ২০০৮ সালের নির্বাচনের অল্প কিছুদিন আগে। আবার নির্বাচনী যুদ্ধে মওদুদ আহম্মদ কে হারিয়ে বিজয়ী হলেন।
১৪. ২০০৯ সালের জাতীয় সম্মেলনে নেত্রী কাদের ভাইকে সভাপতি মন্ডলির সদস্য মনোনিত করেছেন।
১৫. হঠাৎ করে বাংলাদেশের বড় মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর নির্মাণে বিশ্ব ব্যাংক অর্থদান বন্ধ করে দিলে তাখন নেত্রী প্রিয় কাদের ভাইয়ের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের কারণে যোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্বে দেন। দায়িত্ব পাওয়ার অল্প কিছু দিনের মধ্যে তিনি তার কর্ম পরিকল্পনা ও সক্ষমতার মাধ্যমে মানুষের ভালোবাসা ও জনপ্রিয়তা অর্জন করন। এবং সরকারী বড় বড় মেগা প্রকল্প গুলো কাদের ভাইয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হচ্ছে।
১৬. বিগত জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে বিএনপি জামায়াতের তান্ডব লীলার সময় যখন আওয়ামীলীগ সভানেত্রীর কার্যলয় নেতা কর্মী শূর্ন্য হয়ে পড়েছিল তখন সেই সময় প্রিয় নেত্রী কাদের ভাইকে নিয়মিত পার্টি অফিস এবং দলের সকল কার্যক্রমে দলে দুঃসময়ে কাজ করার জন্য দায়িত্ব দেন। এরপর থেকে নেত্রীর নির্দেশে নিয়মিত পার্টি অফিসের নেতা কর্মীদের নিয়ে সরগরম করে রাখেন এবং সারা দেশের নেতা কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন।
১৭.২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার কিছু দিন পর উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় বিদ্রোহী পার্থীর কারণে আওয়ামীলীগের ভরা ডুবি হয়। সেই মূহুত্বে প্রিয় নেত্রী কাদের ভাইকে বিশেষ দায়িত্ব প্রদান করেন এবং তিনি সফল ও হয়েছেন।
১৮. প্রিয় নেত্রী আস্থা ও বিশ্বাস রেখে পৌরসভা, ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত পার্থীদের বিজয়ের লক্ষ্যে স্বমন্নয়কের দায়িত্ব দেন। সেটাও তিনি সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯. সর্ব শেষ আওয়ামীলীগের জাতীয় সম্মলনে প্রিয় নেতা কাদের ভাইয়ের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম কে পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মত ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করেন।
২০. প্রিয়নেতা কাদের ভাই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পরে জেলা জেলায় সাংগঠনিক সফর করে সংগঠনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন এমনকি তিনি ঢাকায় অবস্থানকালে কেন্দ্রীয় পার্টি অফিসে দৈনিক দুই বার যান এবং সকল নেতা কর্মীদের অভিযোগ অনুযোগ শুনে সমাধান করার চেষ্টা করেন। বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ, তাঁতী লীগের দীর্ঘ ১২-১৩ বছর পরে সফলভাবে সম্মেলন আয়োজনে করেন।
—————————–মোঃ নুরুল করিম জুয়েল সহ সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ