
দুই পরিবারের উদ্যোগ, আইনজীবীর প্রচেষ্টা, স্বয়ং মোহাম্মদ সামির ফোন কোনো কিছুতেই কাছাকাছি আনা যায়নি হাসিন জাহানকে। সব প্রচেষ্টা উড়িয়ে হাসিন বলেছিলেন, ‘সমঝোতার কোনো রাস্তাই নেই। লড়াই থেকে কোনো মতেই পিছিয়ে আসব না।’
কিন্তু রবিবার সকালে সামির দুর্ঘটনার খবরে বরফ গলতে শুরু করেছে। এ দিন সন্ধ্যায় হাসিন কাটজুনগরের বাড়ি থেকেই বলে দিলেন, ‘সামির কোনো ক্ষতি হোক আমি চাই না। ওর সঙ্গে আমার তো কোনও চরম শত্রুতা নেই। সামি যন্ত্রণায় ছটফট করলে আমি কখনোই ভাল থাকতে পারি না। ও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক, এই প্রার্থনাই করছি আল্লাহর কাছে।’
কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে হাসিন বলেন, ‘গত দু’বছর ধরে সামি আমার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করত না। আমাকে অন্ধকারে রেখে একাধিক বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়েছিল। আমার লড়াই তার বিরুদ্ধেই। ব্যক্তি মোহাম্মদ সামির বিরুদ্ধে নয়। আলিশবা, মঞ্জুসহ ওর সেই বান্ধবীরা আজ ওর খবর নিয়েছে কি না জানা নেই। তবে আমি কিন্তু সারাদিন বেশ উৎকণ্ঠাতেই ভুগেছি। দু’বার ফোনে ধরার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ফোন বন্ধ ছিল। বিকেলে টিভি থেকে জানলাম, সামি আপাতত বিপদমুক্ত। তাতে কিছুটা চিন্তা কমেছে।’
সামি গত কয়েক দিন দেহরাদূন-এ বাংলা ও ভারতীয় ‘এ’ দলের ক্রিকেটার অভিমন্যু ঈশ্বরন-এর অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করছিলেন। রবিবার সকাল ছ’টার সময় সেখান থেকে দিল্লির উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি। কারণ আইপিএল টিম দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে অনুশীলনে নেমে পড়া।
কিন্তু দেহরাদূন শহর ছেড়ে জাতীয় সড়কে ওঠার মুখেই একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সামির গাড়ির। এ সময় সামি চালকের আসনে না থাকায় বড়সড় কোনো আঘাত পাননি। তবে মাথায়, কপালে ও হাতে আঘাত পান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কপালে নয়টি সেলাই দেয়া হয়। তবে আপাতত সে সুস্থ, তবে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে।