জনতার নিউজ

মিরপুরে সাইক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির ছাত্রী আফসানা ফেরদৌসের মৃত্যুর কারণ ‘আত্মহত্যা’। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের করা ময়নাতদন্ত রিপোর্টে এটি উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা’।
এদিকে, শনিবার পর্যন্ত আফসানার রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে পুলিশ কাউকে আটক করেনি। তবে পুলিশ ঘটনার দিন মিরপুরের আল-হেলাল স্পেশালাইজড হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ যাচাই-বাছাই করছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে পল্লবীর একটি বাসা ভাড়া নিয়ে প্রায় দুই মাস ছিলেন খুন হওয়া ফেরদৌস আফসানা ও তেজগাঁও কলেজের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান রবিন। আফসানার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় কাফরুল থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আহমেদ বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। অবশ্য ঘটনার তদন্ত এরইমধ্যে শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এক-দুই দিনের মধ্যে তদন্তের সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ’
অন্যদিকে, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আফসানার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। এই রিপোর্ট আজকালের মধ্যে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট মিরপুরের আল-হেলাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে দুই ব্যক্তি এক তরুনীকে অসুস্থ অবস্থায় জরুরী বিভাগে রেখে পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিত্সকরা দেখেন যে ঐ তরুনী আগেই মারা গেছেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়।