
শনিবার দুপুরে গুলশানে জিম্মিদের উদ্ধারের অভিযান নিয়ে সেনা সদরে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, আজ শনিবার সকালে উদ্ধার অভিযানের আগেই ২০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের লাশ প্যারা কমান্ডাররা রেস্টুরেন্টের ভেতরে গিয়ে উদ্ধার করে। তাদের লাশ ঢাকার সামরিক হাসপাতালে রাখা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
পরিচালক মিলিটারি অপারেশন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, গত রাত পৌনে ৯টার দিকে দুষ্কৃতিকারীরা গুলি করতে করতে গুলশানের ওই রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়ে। পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে ২ জন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার প্রধান সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেয়। তাদের সংগে র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা বাহিনীসহ সব আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত চেষ্টায় অভিযান চালানো হয়।
তিনি জানান, সেনাবাহিনী আজ শনিবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে অভিযান শুরু করে। ১১ মিনিটে ৬ জঙ্গি নিহত হয়। তিন বিদেশি নাগরিকসহ ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তিন বিদেশিদের মধ্যে ২ জন শ্রীলঙ্কার ও একজন জাপানি ছিলেন। এ ঘটনায় ১ জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নাঈম আরো জানান, সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে অভিযান শুরু করে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ২০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। সামরিক হাসপাতালে তাদের লাশ রাখা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্ত করা হয়েছে। আর এই অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে ‘থান্ডার বোল্ট’।
তিনি বলেন, আমাদের অপারেশন সফল হয়েছে। সবার সহযোগিতায় এটা সম্ভব হয়েছে। সরকারের সহায়তায় অভিযান সফল করা হয়।