গোলাম আযমের ছেলে আগে থেকেই লন্ডনে ছিল। লন্ডনে ছিল নিজামীর সন্তানও। মুজাহিদের সন্তানও এখন লন্ডনে। সেখানে যুক্ত হয়েছে আরেক যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সন্তানও। আর সব যুদ্ধাপরাধীর সন্তান এবং পরিবারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া। গত ২৭ আগস্ট রোববার রাতে লন্ডনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে যোগ দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়ে আসেন যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত পলাতক জামাত নেতা ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। বিএনপির লন্ডনে অবস্থানরত দুজন নেতাও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, প্রায় দু’ঘণ্টা স্থায়ী ওই বৈঠকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়া যুদ্ধাপরাধীর সন্তানদের সমবেদনা জানান। তারেক জিয়া বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একটাই তা হলো এই সরকারকে হটানো। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে আমরা কেউই বাঁচবো না। আপনাদের পিতাদের হত্যার বিচার চাইলে অবশ্যই এই সরকারকে হটাতে হবে।’
বৈঠকে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের লন্ডন প্রবাসী সন্তান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে বিএনপির ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন। কিন্তু ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক এখন মান অভিমানের সময় নয় বলে সবাইকে শান্ত হতে বলেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্বেই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’ ব্যরিস্টার রাজ্জাক ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়েই এগুনোর পরামর্শ দেন। তিনি সুপ্রিম কোর্ট খুললেই ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আপিল বিভাগে উপস্থাপনের পরামর্শ দেন। হাইকোর্ট ওই রিট খারিজ করে দিয়েছিল।
তারেক জিয়াও ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। তারেক বলেন, ‘রিট করে হারানোর কিছু নেই।’ তবে, তারেক জামাতকে আরও সক্রিয় করার ওপর তাগিদ দেন। তারেক, সরকারকে অস্থির করে তোলার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে বলেন। সরকারকে স্বস্তি না দিতে জঙ্গি হামলা, গুম, খুন সহ নানা নাশকতা করার জন্য জামাতকে আরও সক্রিয় হবার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিদেশে বাংলাদেশ বিশেষ করে বর্তমান সরকার বিরোধী প্রচারণা বাড়ানোর জন্য আলোচনা হয়। এ ব্যাপারে তারেক বিস্তারিত পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করেন। বৈঠকে, বেগম জিয়া এক মুহূর্ত আর বসে না থেকে এই সরকারকে সরাতে সব কিছু করার নির্দেশ দেন।
খুব শিগগিরই এদের সঙ্গে দ্বিতীর দফা বৈঠকে বসবেন তারেক জিয়া, এমনটা বৈঠক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।